শেষ পর্যন্ত শাটডাউন ঠেকাতে পারলো না যুক্তরাষ্ট্র। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম এখন বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেটররা শেষ মুহূর্তের তহবিল বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় সাত বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো শাটডাউন দেখলো যুক্তরাষ্ট্র। খবর বিবিসি, এএফপির।
ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই মার্কিন ফেডারেল সরকারের শাটডাউন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এর ফলে এখন লাখ লাখ কর্মী অবৈতনিক ছুটিতে থাকবেন এবং অনেক সরকারি কর্মসূচি ও পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে।
রিপাবলিকান-নিয়ন্ত্রিত সিনেট সরকারি ব্যয় বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই এই শাটডাউন শুরু হলো। ২০১৮ সালের পর এটাই প্রথম সরকারি শাটডাউন এবং এতে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের অবৈতনিক ছুটিতে রাখা হবে মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটে মধ্যরাতের সময়সীমা অতিক্রম করে তহবিল বাড়ানোর জন্য ভোট ব্যর্থ হওয়ায় এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেডারেল কর্মীদের অপসারণের মেয়াদ বাড়ানোর হুমকি দেওয়ার পর মার্কিন সরকার একটি সরকারি শাটডাউনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
শাটডাউন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ৬০টি ভোটের মধ্যে ৫৫-৪৫ ভোটের ব্যবধানে বিল পাসে ব্যর্থ হয় সিনেট। শেষ মুহূর্তের সমাধান অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছিল, কারণ রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটরা তাদের বিভেদ দূর করার কোনো লক্ষণই দেখাতে পারেনি।
এই পরিস্থিতির জন্য ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরা উভয়ই একে অপরকে দোষারোপ করা শুরু করেছে। ডেমোক্র্যাটরা জোর দিয়ে বলেছেন, যেকোনো ব্যয় বিলের মধ্যে অতিরিক্ত স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত, অন্যদিকে রিপাবলিকানরা জোর দিয়ে বলেছেন যে দুটি বিষয় আলাদাভাবে মোকাবিলা করা উচিত।
এদিকে আগুনে ঘি ঢেলেছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবারের ভোটের আগে তিনি হুমকি দিয়েছেন যে, ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে ডেমোক্র্যাটদের পছন্দের প্রোগ্রাম বাতিল করা হবে এবং আরও ফেডারেল কর্মীদের বরখাস্ত করা হবে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অনেক লোককে ছাঁটাই করবো। এর মধ্যে বেশিরভাগই হবে ডেমোক্র্যাট।